মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পটিতে ৪র্থ পর্যায় চলমান। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র এবং বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা প্রকল্পের প্রধান কাজ। সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সরকারেরVision-2021বাস্তব রুপায়নে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। মন্দিরভিত্তিক পাঠাগার স্থাপন এবং শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ও মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৩য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের পর মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৪র্থ পর্যায়ের প্রকল্প জুলাই২০১৪ মাসে শুরু হয়।
৪র্থ পর্যায় প্রকল্পে সারাদেশে মন্দির আঙ্গিনাকে ব্যবহার করে ৫,০০০টি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ৫,১৮,১৩০ জন শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদান করা হবে। কার্যক্রমের সকল শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম সমাপান্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয় বিধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন নিশ্চিতকরণ সম্ভব হবে। ২৫০টি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ২০৭৭৫ জন বয়স্ক শিক্ষার্থীকে নিরক্ষরমুক্ত করে উন্নত জীবন যাপন সম্পর্কে সচেতন করা হবে। 5৩টিজেলা অফিসের ২৪৩ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং ৫৩৪৬ জন শিক্ষক/কনটিনজেন কর্মচারীর পার্ট টাইম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে- যা দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক হবে। নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২০% ও শিক্ষকদের ৮০% মহিলাদের মধ্য থেকে পূরণ করা হয়েছে বিধায় নারীর ক্ষমতায়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও বয়স্ক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিশু ও বয়স্ক শিক্ষার্থীদের অক্ষরজ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষাদানের পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষা ও ধর্মীয় চর্চার সুযোগ রয়েছে। ধর্মীয় চর্চা মানুষের আধ্যাতিক চিন্তা চেতনার উন্মেষ ঘটায়। আধ্যাতিক চিন্তা আমাদের অন্তরে আদর্শ, নৈতিকতা, সততা, সহনশীলতা, মানবিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে। তাই মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প সমাজ থেকে সংহিসতা দূরীকরণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। অধিকন্ত এ কার্যক্রম হিন্দু ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলছে। প্রকল্পটি ধর্মীয় সংহতি ও সম্প্রীতির ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
Eনিম্নে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যঃ
প্রকল্পের নামঃমন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৪র্থ পর্যায়। উদ্যোগী মন্ত্রণালয়ঃ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নকারী সংস্থাঃহিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। জেলা কার্লয়ের জনবলঃ৩ জন- ১। সহকারী পরিচালক ২। কম্পিউটার অপারেটর ৩। ফিল্ড সুপারভাইজার
Eশিক্ষাস্তর ক) প্রাক-প্রাথমিক স্তর কেন্দ্রের অবস্থানঃ মন্দির/মন্দির সংলগ্ন ঘর। শিক্ষকঃ মন্দিরের পুরোহিত/সেবাইত/ হিন্দু ধর্ম পড়াতে সক্ষম সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত (এস,এস,সি পাশ) ব্যক্তি। প্রতি কেন্দ্রের শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৩০ জন।
খ) বয়স্ক স্তর কেন্দ্রের অবস্থানঃ মন্দির/মন্দির সংলগ্ন ঘর। শিক্ষকঃ মন্দিরের পুরোহিত/সেবাইত/ হিন্দু ধর্ম পড়াতে সক্ষম সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত (এস,এস,সি পাশ) ব্যক্তি। প্রতি কেন্দ্রের শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ২৫ জন।
Eপাঠ্য পুস্তক সমুহঃ ক) প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য খ) বয়স্ক স্তরের জন্য ১। আমার প্রথম পড়া (বাংলা) ১। আমাদের পড়ালেখা (বাংলা) ২। আমরা গনিত শিখি (গনিত) ২। আসুন হিসাব শিখি (গণিত) ৩।সনতন ধর্ম শিক্ষা (ধর্ম) ৩। সনাতন ধর্ম শিক্ষা (ধর্ম) ৪। আমরা পড়ি আমরা শিখি (ব্যবহারিক তথ্য বার্তা)
Eলালমনিরহাট জেলায় প্রকল্পের চলতি কার্যক্রমঃ
প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত উপজেলা : ১। পাটগ্রাম ২। হাতিবান্ধা ৩। কালীগঞ্জ ৪। আদিতমারী ৫। লালমনিরহাট সদর মোট শিক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাঃ ৮৮টি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাঃ ৮৩টি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাঃ ০৫টি মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ২৬১৫জন প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ২৪৯০ জন বয়স্ক স্তরের শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ১২৫ জন জেলা সদরে মডেল পাঠাগারঃ ০১টি উপজেলা পাঠাগারঃ ৫টি (প্রতি উপজেলা ভিত্তিক একটি করে)
Eএক নজরে লালমনিরহাট জেলায় উপজেলা ভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাঃ
|
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS